ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী এর মধ্যে একটি জনপ্রিয় স্থান হলো ঢাকা কাওরান বাজার। ঢাকা কাওরান বাজার ১৮ শ শতাদ্বীর শেষের দিকে কারওয়ান সিং নামে এক ব্যবসায়ী এখানে প্রথম মার্কেট খোলেন। তার পর থেকেই এই বাজারের নাম হয় কাওরান বাজার। তার পর দিরে দিরে এই বাজার জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ঢাকা শহেরের মধ্যে সব থেকে বড় পাইকারি বাজার হলো এই ঢাকা কাওরান বাজার। এবং একটি জনপ্রিয় বাজার। ঢাকা কাওরান বাজারে ২০০১ সালের হিসাব অনুযায়ী দোকানের সংখ্যা প্রাই ১৩০০ শ এর মধ্যে ৬০টি দোকানের মালিক ঢাকা সিটি কর্পোরেশন। ঢাকা কাওরান বাজারের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো সব কিছু পণ্যের আলেদা আলেদা নির্ধারিত আড়ৎ বা স্থান রয়েছে। এই কাওরানবাজার টি ঢাকা উত্তর সিটির মধ্যে অবস্তিত রয়েছে। মাছ এবং তরিতরকারির জগতে সব থেকে বড় মার্কেট হলো এই কাওরান বাজার বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাইকাররা নিয়ে আসেন এই কাওরান বাজারে।
ঢাকা শহর দিনের বেলায় ব্যস্ত থাকলেও ঢাকা কাওরান বাজারের চিত্র তার ঠিক উল্টো । রাত ৮টার দিকে কাওরান বাজার যেন ভোরের কাকডাকা। ঢাকা কাওরান বাজারে রাত ১০ টার পর থেকেই আড়ৎ গুলোতে জ্বলতে শুরু করে হালকা থেকে ভারি ভারি লাইট। মালিক আসার আগে থেকেই শুরু হয় আড়ৎ পরিষ্কারের কাজ। আস্তে আস্তে বারতে থাকে রাত এর সংগে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ব্যস্ততা।
কসবজি,কাচামালের এবং ফলমূলের ট্রাক এসে ভির করে মহাসড়ক। ট্রাক থেকে মালা-মাল নামানো হয় ভ্যানে করে। এক একটি ভ্যান সাধারণত পেয়ে থাকেন ছোট বস্তার জন্য ১৫-২০ টাকা আর বড় বস্তার জন্য ৩০-৫০ টাকা। রাত ১২ টার পর থেকেই ফল,সবজি,তরিতরকারি, মাছ,মুরগী ইত্যাদি পণ্য দিয়ে বোঝাই হয়ে যায় এই কাওরান বাজার। রাত ২টার পর দেখা যায় আরেক শ্রেণির মানুষ যারা ক্রয় করবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে এই কাওরান বাজার। রাত ২টার থেকে দেশের বিভিন্ন শহর বা জেলা থাকে আসা শুরু করে পিকাপ ভ্যান ক্রয়কৃত পণ্য নেওয়ার জন্য। আর সকাল ৮ টার আগেই ত্যাগ করতে হয় ঢাকা রাজধানী থেকে । সকল ১০ টা হতেই ঘুম আচ্ছন্ন হয়ে যায় এই কাওরান বাজার।
ঢাকা কাওরান বাজার সব কিছু নির্ধারিত স্থান রয়েছে। যেমন কামার পট্টি, ইলেক্ট্রনিক মার্কেট। রয়েছে স্যানেটারি ও হার্ডওয়ারের মার্কেট। আরো রয়েছে মুরগি,তরিতরকারি, মাছের আড়ৎ ইত্যাদি। জুতা ও জামাকাপরের পাইকারি মার্কেট ও রয়েছে। আরো অনেক কিছুর পাইকারি মার্কেট রয়েছে এই কাওরান বাজারে। নিন্মবিত্তের ও মমধ্যবিত্তদের খোলা বাজার রয়েছে। আরো রয়েছে খুচরা বাজার। ফলের আড়ৎ এর জন সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এখানে সকল ধরনের দেশি -বিদেশি ফল পাইকারি দামে পাওয়া যায় । আপনারা ইচ্ছা করলে ঢাকা কাওরান বাজার থাকে পাইকারি মালামাল কিনে নিজের এলাকায় ছোট ছোট বাজারে বিক্রি করে অনেক টাকা লাভ করতে পারবেন।
ঢাকা শহরের জন্য অন্যতম বানিজ্যিক এলেকা হলো এই কাওরান বাজার। ২০০২ সালের পর থেকেই অনেক বড় বড় বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গরে উঠেছে এই ঢাকা কাওরান বাজার । এখানে ব্যাংক, বিমা,এনজিও ইত্যাদি আরো প্রতিষ্ঠান রয়েছে । ঢাকা কাওরান বাজারে সপ্তাহে তরিতরকারি, ফলমূল, মাছের ইত্যাদির আড়ৎ ছাড়া ১দিন বন্ধ থাকে। কাচাবাজারের কোন বন্ধ নাই। কাচামালের, মাছ,মাংস ইত্যাদি সারা দিন রাত খুলা থাকে। আর বাকি দোকান গুলো সকাল ৮ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত খুলা থাকে। আর সারা রাত পাইকারি কাচামাল বিক্রি করার পর সকাল ৬ টা থেকে শুরু হয় খুচরা বেচাকেনা। সকালে টাটকা সবজি, মাছ, মাংস ইত্যাদি পাওয়া যায় এই কাওরান বাজারে। প্রতিটি খুচরা দোকানে বির লেগেই থাকেন প্রতিদিন সকাল বেলায়। সপ্তাহে একদিন অথ্যাৎ প্রতি শুক্রবার সকালে সকল চাকরি জিবিরা কাওরান বাজারে বিরজমায়।