বাংলাদেশে প্রতিদিন জনসংখ্যার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের চাহিদা। আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের খাদ্য ও কর্মসংস্থান।  বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক শিক্ষিত মানুষ আছে যারা নাকি বেকার গুড়ে বেরাচ্ছেন চাকরির আশায়। আবার অনেকে চাকরির আশা না করে অন্য কাজে মনোযোগ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করেন। আমি মনে করি যারা নাকি চাকরির আশায় করেন তারা এই আশা চিন্তাভাবনা না করে ব্যবসার কাজে মনোযোগ দিন। ব্যবসা করে জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। ব্যবসা করতে পুজি লাগেনা একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করতে হবে। সে জন্য আজকে আমি অল্প পুজিতে কি ভাবে পাইকারি ব্যবসার শুরু করবেন তার কিছু আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করব। পাইকারি ব্যবসা করতে বেশি পুজি লাগে না। পাইকারি ব্যবসায় কোন লোকসান নাই। পাইকারি ব্যবসায় অনেক লাভবান হওয়া যায়। তাই অনন্য কিছু চিন্তাভাবনা না করে নিজের কর্মসংস্থান হিসাবে এই পাইকারি ব্যবসা গুলো করতে পারেন।

 

পাইকারি ব্যবসা কী

What is wholesale business?

পাইকারি ব্যবসা হলো উৎপাদন বা উৎপাদকের কাজ থেকে একসাথে অধিক পরিমানের পণ্য ক্রয় করে তা খুচরা বাজারে পাইকারি বিক্রয় করাকে পাইকারি ব্যবসা বলা হয়।
পাইকারি ব্যবসা দুই ভাবে করা যায়
০১.  উৎপাদনকারির কাছ থেকে অধিক পরিমানের পণ্য ক্রয় করে তা খুচরা বাজারে কাছে পাইকারি বিক্রয় করতে পারেন।
০২.  উৎপাদনকারির কাছ থেকে পণ্য না কিনে নিজে উৎপাদন করে সরাসরি খুচরা ব্যাবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করতে পারেন।

কাচাঁমালের পাইকারি ব্যবসা

Wholesale trade of raw materials

কাচাঁমালের পাইকারি ব্যবসা হলো উৎপাদন কারির কাজ থেকে অধিক পরিমানের কাচাঁমাল ক্রয় করে খুচরা ব্যাবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করাকে পাইকারি ব্যবসা বলা হয়। সরাসরি উৎপাদন কারির কাজ থেকে কাচাঁমাল না কিনে যাত্রাবাড়ী  বা ঢাকা কাওরানবাজার অধিক পরিমানের পণ্য কিনে আপনার ছোট ছোট বাজারে পাইকারি বিক্রয় করে অনেক লাভবান হতে পারেন। কাচাঁমালের পাইকারি ব্যবসায় কোন লোকসান নাই। আপনি চাইলে আপনার কর্মসংস্থান হিসাবে এই কাচাঁমালের পাইকারি ব্যবসা বেছে নিতে পারেন। কাচাঁমালের পাইকারি ব্যবসা করতে হলে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

মাছের পাইকারি ব্যবসা

Fish wholesale business

মাছ মানুষের দৈনিক চাহিদা মেটিয়ে থাকেন। মাছ মানুষের দৈনিক খাবারের মধ্যে  অন্য রকম খাদ্য। মাছের চাহিদা শুধু বাংলাদেশে নয় সারাবিশ্বে চাহিদা  রয়েছে।  মাছের ব্যবসা করতে বেশি পুজি লাগে না।  ১০ হাজার টাকা পুজি নিয়ে এই ব্যবসা করতে পারেন।
উৎপাদনকারী বা যাত্রাবাড়ী মাছের আড়ৎ থেকে মাছ ক্রয় করে খুচরা বাজারে বিক্রয় করতে পারেন।

ব্রাশের পাইকারি ব্যবসা

Wholesale trade of brass

মানুষের নিত্তপ্রয়োজনিয় জিনিশের মধ্যে ব্রাশ হলো অন্যতম।  খাবারের পাশাপাশি বারছে আরো অনেক পণ্য।  তার মধ্যে ব্রাশের চাহিদা একটু বেশি। দেখা যায় বাংলাদেশে অনেক শিক্ষিত বেকার চাকরির আশায় গুরে বেরাচ্ছেন। আমি আপনাদের বলব চাকরির আশা না করে ছোট খাট একটি ব্যবসা করুন।  ব্যবসা করলে জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। ব্যবসার সাথে কোন কাজের তোলনা হয় না। ব্যবসা হলো হালাল ভাবে টাকা ওপার্জন করা। তাই আর ঘরে না বশে থেকে আজি ব্যবসা শুরু করুন। বর্তমানে কমটায় ব্যবসা করা জায় না। কম টাকায় ব্যবসা করতে হলে আমার কাছে অনেক লাভবান একটি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া আছে, এতে পুজিও কম লাগে লাভও বেশি হয়।  সেই ব্যবসাটি হলো ব্রাশের পাইকারি ব্যবসা। আজিই আপনার কর্মসংস্থান হিসাবে এই পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন।

মোমবাতির পাইকারি ব্যবসা

Wholesale trade of candles

ব্যবসার জগতে সব থেকে লাভজনক ব্যবসা হলো মোমবাতির পাইকারি ব্যবসা। মোমবাতির পাইকারি ব্যবসা করতে বেশি পুজি লাগে না  ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পুজি হলে এই ব্যবসা করতে পারবেন। মোমবাতির পাইকারি ব্যবসা আপনি দুই ভাবে করতে পারবেন এক নিজে ডাইস কিনে মোমবাতি বানিয়ে পাইকারি বিক্রয় করতে পারেন। দুই আপনি মোমবাতি না বানিয়ে অধিক পরিমানের পণ্য ক্রয় করে খুচরা ব্যাবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করতে পারেন।

মুদিমালের পাইকারি ব্যবসা

Wholesaling of Groceries

বর্তমানে সব ব্যবসার থেকে লাভজনক ব্যবসা হলো মুদি মালের ব্যবসা। মানুষের দৈনিক যে চাহিদা রয়েছে তার সকল পণ্য মুদির দোকানে পাওয়া যায়। মুদি মালের পাইকারি ব্যবসা করতে অনেক টাকা পুজি  লাগে। যেমন বেশি পুজি লাগে তেমন লাভ ও অনেক বেশি। মুদি মালের পাইকারি ব্যবসা করতে আনুমানিক পুজি লাগতে পারে ৫ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকার মতো। যদি আপনার কাছে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা পুজি থাকে তাহলে আপনার কর্মসংস্থান হিসাবে এই মুদিমালের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
See also  গুলিস্তান পাইকারি মার্কেট