উৎপাদন ব্যবসা বলতে বুঝা যায় যে মানুষ, মেশি, যন্ত্রাংশ, কাচাঁমাল ইত্যাদি দিয়ে যে সকল পণ্য  তৈরি হয় এবং পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করে অর্থ উপার্জন করাকে উৎপাদন বলা হয়। আপনি যা কিছুই তৈরি করে বিক্রয় উপযোগী করেন তাই উৎপাদন ব্যবসায় নিয়জিত।পৃথিবীর যে সকল দেশকে শক্তিশালী অর্থনীতি ও শিল্প উন্নত হিসেবে বিবেচনা করা হয়, সে সকল দেশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে উৎপাদন ব্যবসার উপর নির্ভরশীল। উদাহরণস্বরূপ, কৃষি শিল্প যন্ত্রপাতি, কেমিক্যাল ও অন্যান্য সরঞ্জামের জন্য উৎপাদন শিল্পের উপর নির্ভরশীল। ছোট উৎপাদন ব্যবসা বাড়ী থেকে শুরু করা যেতে পারে। আপনি ও ইচ্ছা করলে এই পাচঁটি উৎপাদন ব্যবসা করতে পারবেন। 

মশার কয়েল উৎপাদন

উৎপাদন হলো মানুষের তার শ্রম ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদে যে বিনিময়যোগ্য বাড়তি উপযোগ সৃষ্টি করে তাকে উৎপাদন বলা হয়। কয়েল উৎপাদন বাংলাদেশের মানুষের নিত্তপ্রয়োজিনিস ব্যবহারে মধ্যে কয়েল হচ্ছে অনন্যতম। কয়েল ছাড়া মানুষ যেন এক মিনিটও চলতে পারে না। রাতের বেলায় গুমাতে গেলে কয়েল এর প্রয়োজন হয়ে থাকা। কয়েল ফ্যাক্টরির জন্য প্রথমে আপনাকে একটি জায়গা নির্বাচন করতে হবে।তার পর আপনি সেখানে একটি কারখানা তৈরি করতে হবে। তারপর সেখানে যা করতে পারেন সর্বনিম্ন ৬০ হাজার টাকা থেকে ৩ লাখ টাকার মেশিন দিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার এই উউৎপাদন ব্যবসা। আপনার ফ্যাক্টরি তৈরি করার পরে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়াদ জন্য আবেদন জরতে হবে। আর সরকারের কাছে অনুমোদন নিতে গেলে যে সব কাগজ গুলো আপনার অবশ্যই লাগবে৷ তা নিম্নে দেওয়া হলো:
 পি এস পি লাইসেন্স
ট্রেড লাইসেন্স
ট্রেডমার্ক
ফায়ার লাইসেন্স
কারখানার লে আউট
প্রসেস ফ্লোর্চাট
পরিবেশের ছাড় পত্র
বি এস টি আই লাইসেন্স নিতে যদি সরকার মনে করে আপনার কাছ থেকে আরো কাগজ ও লাইসেন্স লাগবে তাহলে সেগুলো আপনাকে অবশ্যি জমা দিতে হবে। তার সাথে কিছু টাকা লাগতে পারে। আপনার লাইসেন্স দেওয়ার জন্য সকারি কর্মকর্তা এসে আপনার কাখানা দেখবে আপনার সব কিছু ঠিক ঠাক আছে কিনা। তার পর দেখবে আপনার পণ্য মান পরিক্ষা নিরিক্ষা করে দেখবে আপনাকে লাইসেন্স পাওয়ার উপযোগি কি না। তারা যদি আপনার পণের মান ভালো হয় তাহলে লাইসেন্স পাইতে পারেন।
কয়েল তৈরি করার জন্য  বিভিন্ন দরনের কাচামালের প্রয়োজন। কি কি কাচামাল লাগে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো।
বিভিন্ন ধরনের গাছের কাট,নারিকেলের ছুভা,বালু ইত্যাদি প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাছারা বিভিন্ন ধরনের ক্যামিকেল এর প্রয়োজন যেমন

পাইরেথ্রামএ,মজিকে এনবি, এইচটিডা,ইমফ্লথ্রিমএ,মবিথোথ্রিন আরো অন্যন্য ক্যামিকেল লাগতে পারে।

উপরে যেই সব ক্যামিকেল আছে ওই ক্যামিকেল দিয়ে কয়েল কয়েল উৎপাদন করতে হবে। তার আগে আপনাকে অবশ্যই ভালো এবং দক্ষ কারিগর দিয়ে কয়েল বানাতে হবে। যাতে করে কয়েল বানানোর সময় ক্যামিকেল কম বা বেশি ব্যবহার না করে থাকেন। ক্যামিকেল কয়েলে বেশি পরলে মানুষের ক্ষতি হতে পারে। আবার যদি কম ক্যামিকেল পরে তাহলে কয়েল কোন কার্যকর হবে না। সে জন্য আপনার ফেক্টরিতে দক্ষ কারিগরের প্রয়োজন।

মোমবাতি উৎপাদনের ব্যবসা

উৎপাদনের সমার্থক শব্দ হচ্ছে উদ্ভাবন বা সৃষ্টি। অতএব সাধারণভাবে কোন কিছু উদ্ভাবন বা সৃষ্টি করাকে উৎপাদন বলা হয়। উৎপাদনের উপাদান চারটি যথা–ভূমি,শ্রম,মূলধন ও সংগঠন। এই চারটি উপকরণ ব্যবহার করে যে মোমবাতি বানানো হয় তাকে মোমবাতি উৎপাদন বলা হয়। আমাদের দৈনিক কাজে ব্যবহার করা বিভিন্ন জিনিসপত্রের মধ্যে মোমবাতি অন্যতম। আমাদের দেখা যায় যে ১০ মিনিট লোডশিডিং থাকলেই গ্রামের দোকান গুলোতে মোমবাতির জন্য বিরলেগে থাকে। আগের কাল মানুষের এতো মোমবাতি ব্যবহার করতো না। কারণ ওই সময় প্রতি ঘরে ঘরে কুফি ছিল। বর্তমানে কুফি না থাকার কারণে অধিক মোমের চাহিদা রয়েছে। অল্প খরচে আলো পেতে মোমবাতি খুবই উপকারী জিনিস । মোমবাতি আমাদের দেশে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব, জন্মদিন, এমনকি নানা রং ও আকৃতিক মোমবাতি ব্যবহার করা হয়। তাই আপনিও ইচ্ছা করলে মোমবাতির তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তাই আপনি বেকার না থেকে  নিজের কর্মসংস্থানের জন্য মোমবাতি তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

চাউলের উৎপাদন ব্যবসা

উৎপাদন হলো ভূমি,শ্রম,মূলধন ও সংগঠন কে কাজে লাগিয়ে যা উৎপাদন করা হয় তাকে উৎপাদন বলা হয়। চাউলের ব্যবসায়ের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হলো উৎপাদন ব্যবসা। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা থেকে উৎপাদন ব্যবসা অনেক ভালো। তবে আপনি যত বেশি পণ্য উৎপাদন করবেন আপনার তত বেশি লাভ হবে। তাছারা আপনি উৎপাদন ব্যবসা করতে হলে অধিক পরিমাণের ধান উৎপাদন করতে হবে। যাতে করে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা আপনার পণ্যটাকে ক্রয় করতে ইচ্ছুক হন। আপনার হাতে যদি কিছু টাকা পুজি থাকে। আপনি ইচ্ছা করলে আজিই উৎপাদন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আর এই উৎপাদন ব্যবসা করলে আপনি অনেক লাভবান হতে পারেন।

মাছের উৎপাদন ব্যবসা

মানুষের দৈনিক খাবারের মধ্যে মাছ হচ্ছে অন্যতম খাদ্য। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের মাছের চাহিদা বেশি রয়েছে। কারণ তারা দৈনিক মাংস পুলাও খাইতে পারেনা। সে জন্য তাদের মাছের দিকে চাহিদা একটু বেশি। মাছ এমন একটি খাবার যা প্রতিটা মানুষের চাহিদা রয়েছে। তাছারা মাছ প্রতিটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের চাহিদা বেশি হয়ে থাকেন। যেমন বিবাহ, বৌভাত,এবং মোসুলমানির অনুষ্টানে মাছের চাহিদা বেশি রয়েছে। তাছারা বিভিন্ন হোটেলে ও মাছের অধিক চাহিদা। আপনি ইচ্ছা করলে মাছ চাষ করে অনেক টাকা লাভবান হতে পারেন।

কাচাঁমালের উৎপাদন ব্যবসা

ব্যবসা হলো মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে উৎপাদন বা বণ্টনসহ সকল বৈধ অথনৈতিক কাজ কে ব্যবসা বলা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভবান ব্যবসা হলো উৎপাদন ব্যবসা। এই কাচামালের উৎপাদন ব্যবসায় কোন ঝুকি নাই। আর এই ব্যবসায় বেশি পুজি লাগেনা।  অল্প টাকা পুজি হলেই যথেষ্ঠ।

 

See also  ফার্মেসী ব্যবসার আইডিয়া!