বর্তমানে আমাদের দেশের মানুষ কি খামার করবেন কোন খামার করলে ভালো হবে এই রকম চিন্তা মাথায় নিয়ে গুরে বেরান। তারা কি খামার নিয়ে উদ্যোক্তা হবেন । এই চিন্তা কিরে এক পা এগিয়ে দু পা পিচিয়ে আসে। এই পিচিয়ে আসার কারণে তারা সফল উদ্যোক্তা হতে পারে না। সফল উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে সামনে এগিয়ে আসতে হবে। আর আপনি যদি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চান তবে আপনার হার না মানা মনোভাব থাকতে হবে। আর আপনার এই রকম মনোভাবে আপনাকে সামনে এগিয়ে নিতে সাহয্য করবে। আর সেই রকম উদ্যোক্তাদের জন্য আমরা কয়েকটি কৃষি খামারের লাভজনক ব্যবসা নিয়ে এই পোস্ট এ আলোচনা করব। বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে কৃষি পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি ইচ্ছা করলে এক লাখ হতে পাচঁ লাখ টাকা পুজি নিয়ে এই কৃষি খামারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আর এই খামারের ব্যবসা করে আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন।
কৃষি খামার! ৫ টি লাভজনক খামারের আইডিয়া
কৃষি প্রধান এ দেশে কৃষি পণ্য বিপণনে নানান ধরনের সমস্যা লক্ষ করা যায়। যেগুলোর অধিকাংশই দূর করা সম্ভব। তবে কৃষি পণ্য বিপণনে সমস্যা দূর করার জন্য কৃষক, সরকার, এনজিও সহ সকল পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। তবে খামারিদের দিক বেশি এগিয়ে আস্তে হবে। যেমন গরুরখামার বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি ইচ্ছা করলে ৫ লাখ টাকা নিয়ে গরুর খামার তৈরি করতে পারেন। আর এই খামারের। ব্যবসা করে আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন গরুর খামারের জন্য এমন একটা জায়গা বা স্থান নির্বাচন করতে হবে যেখানে আলো বাতাস এবং বৃষ্টি বা র্বষা কালে পানি জমে না থাকে। তাছারা গরুর ময়লা আর্বজনা ফেলতে সুবিধা হয় সেই রকম জায়গা বা স্থান নির্বাচন করতে হবে।আপনি গাভী পালন করতে চান তাহলে ভালো দুধওয়ালা বা ভালো জাতের গাভী ক্রয় করতে হবে। আর যদি আপনি ষাড় পালন করতে চান তাহলে প্রতি বছর শুরুতে ৩০ হাজার টাকা করে ভাল জাতের ষাড় ক্রয় করবেন। আর যদি আপনি চান যে আমি ষাড় এবং গাভী দুটাই পালন করব তাহলে করতে পারবেন। কিন্তু আপনাকে দুই সারিতে পালন করতে হবে। এক সারিতে গাভী আরেক সারিতে ষাড় পালন করতে পারবেন।
বর্তমানে আমাদের দেশি প্রতিটি গ্রামে গ্রামে দেশি মুরগির পালন করে থাকেন। বিদেশি মুরগীর চাইতে দেশি মুরগীর ডিম এবং মাংসের দাম অনেক বেশি। তাছারা দেশি মুরগীর চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে। কারণ দেখা যায় যে দেশি মুরগীর ডিম এবং মাংসের মধ্যে অনেক ভিটামিন রয়েছে। আর এই দেশি মরগী পালন করলে বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। তাছারা অল্প টাকায় অধিক লাভবান হওয়া যায়। তাছারা গ্রামের চাইতে শহরের বিতরে এইদেশি মুরগীর চাহিদা অনেক বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশে বেকার মানুষ অনেক রয়েছে। তারা বেকার না থেকে অল্প টাকা পুজি নিয়ে এই দেশি মুরগীর খামার করতে পারেন। দেশি মুরগীর খামারে কোন লোকসান নাই। এই খামার করলে অধিক লাভবান হতে পারবেন।
বর্তমানে বাংলাদেশে গ্রাম এলেকার মানুষেরা হাঁসের খামার করে অনেক অনেক লাভবান আছে। হাস এর খামার করতে বেশি জায়গার প্রয়জন হয় না। বাড়ির আশে পাশে পুকুর বা খাল ছোট নদী হলে আপনি হাসের করে খামার করতে পারবেন। আপনি যদি ২০০ হাস পালন করেন তাহলে খামারের জন্য জায়গা লাগবে লম্বা ৫০ ফিট আর চওরা ১০ ফিট। হাঁস এর খামারের জন্য আপনাকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে না। প্রশিক্ষণ ছাড়াই আপনি হাস এর খামার করতে পারবেন। প্রশিক্ষণ ছাড়াও আপনার খামার কোন ক্ষতি হবে না। তাছারা এই খামার করতে হলে বেশি পুজিও লাগে না। আপনি ইচ্ছা করলে আজিই এই খামার শুরু করতে পারেন।
বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে মুরগির চাহিদা অনেক বেশি। তাছারা আগের ছেয়ে খামারের চাহিদা বেশি। অল্প পুজিতে লাভজনক খামার হলো ব্রয়লার মুরগীর খামার। এই ব্রয়লার মুরগী বড় হতে বেশি সময় লাগে না। তাছারা বর্তমানে নিম্ন বা মধ্যবিত্ত পরিবারের খাদ্য এর জন্য অনেক চাহিদা রয়েছে এই ব্রয়লার মুরগীর। বিশেষ করে বর্তমানে মাছের চেয়ে মুরগীর চাহিদা অনেক বেশি। মাছের চেয়ে মুরগীর দামও কম তেমন মুরগী বড় হতে সময় ও কম লাগে। খামার করতে আপনার জায়গা লাগতে পারে ১০০ ফিট লম্বা এবং ২০ ফিট চওরা ও ১০ ফিট উচু করে খামার বানাতে হবে। খামারের জন্য ভালো জাতের বাচ্চা সংগ্রহ করতে হবে। ঠিক মতো ঔষুধ খাওয়াতে হবে। আর সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো খামারের রুগযজিবানো পতিরোধ করা। মুরগীদের জন্য দানাদার খাদ্য দিতে হবে।
মাছ হচ্ছে আল্লাহর দেয়া বিশেষ নেয়ামত ।মানুষের দৈনিক খাবারের মধ্যে মাছ হচ্ছে অন্যতম খাদ্য। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের মাছের চাহিদা বেশি রয়েছে। কারণ তারা দৈনিক ভালো ভালো কিছু খাইতে পারেনা। সে জন্য তাদের মাছের দিকে চাহিদা একটু বেশি মাছ একটু ছোট হক বা বড়। মাছ এমন একটি খাবার যা প্রতিটা মানুষের চাহিদা মিঠিয়ে রাখেন। তাছারা মাছ প্রতিটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বেশি চাহিদা রয়েছে। যেমন বিবাহ, বৌভাত,এবং মোসুলমানির অনুষ্টানে মাছের চাহিদা বেশি রয়েছে। তাছারা বিভিন্ন হোটেলে ও মাছের অধিক চাহিদা। তাছারা আপনি ইচ্ছা করলে মাছের খামার করতে পারেন। মাছের খারমার করতে আপনার একটা পুকুরের প্রয়জন হক সেটা ভাড়া বা নিজের। পুকুর যদি একটু বড় হয় তাহলে আপনার মাছের জন্য ভালো হবে। পুকুরের জন্য আপনার জায়গা লাগতে পারে ১৫০ ফিট লম্বা এবং ১০০ ফিট চওরা হলে ভালো হবে।খামারে মাছের জন্য ভালো দানাদার খাদ্য দিতে হবে। মাছ তারাতারি বড় হওয়ার জন্য ভিটামিন খাওয়াতে হবে। আর এই মাছের খামার করতেও বেশি পুজি লাগেনা। অল্প পুজিতে বেশি লাভ। আনুমানিক পঞ্চাশ হাজার টাকা হলেই মাছের খামার (fish farm) করতে পারবেন।তাছারা এই খামারে বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। বাংলাদেশি এই রকম অনেক মাছের ব্যবসায়ী আছে যারা নাকি মাসে এক লাখ টাকা ইনকাম করতেছে। কাজেই আমরা ওই দিকে নজর না দিয়ে আপনি আপনার খামার কি ভাবে করবেন সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।