আমাদের প্রতিদিনের কাজে ব্যবহার করা বিভিন্ন জিনিসপত্রের মধ্যে মোমবাতি অন্যতম। আমাদের বাংলাদেশে দেখা যায় যে ১০ মিনিট লোডশিডিং    থাকলেই গ্রামের দোকান গুলোতে মোমবাতির      জন্য বিরলেগে থাকে। আগের কাল মানুষের এতো মোমবাতি লাগতো না। কারণ ওই সময় প্রতি ঘরে  ঘরে কেরোসিন ব্যবহার করে ছিল। বর্তমানে          কেরোসিনের কুফি না থাকার কারণে অধিক        মোমের চাহিদা রয়েছে। অল্প খরচে আলো পেতে  মোমবাতি খুবই উপকারী। মোমবাতি আমাদের    দেশে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব, জন্মদিন, এমনকি      নানা রং ও আকৃতিক মোমবাতি ব্যবহার করা হয় তাই আপনিও ইচ্ছা করলে মোমবাতির তৈরির    ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তাই আপনি বেকার না থেকে  নিজের কর্মসংস্থানের জন্য মোমবাতি তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

সুবিধা

এই মোমবাতির ব্যবসা শুরু করতে বেশি পুজি লাগে না। সহজেই আপনি মোমবাতি বানাতে পারবেন। আর মোমবাতির কারখানার জন্য আপনার বেশি জায়গা  লাগবে না। ১০-১৫ ফিট জায়গা হলেই যথেস্ট। তাছারা এই ব্যবসার জন্য কোনো কর্মী? রাখতে হয় না। পরিবারের সবাই মিলে এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারে। এই ব্যবসায় অতিকিক্ত লোকের কোন প্রয়োজন হয় না। পেকেজিং করতে সুবিধা। এই ব্যবসায় বেশি পরিশ্রম করতে হয় না।

মোমবাতি বানানোর যন্ত্রপাতি

মোমবাতি বানানোর জন্য আপনার যা প্রয়োজন হতে পারে ডাইস, করাই, পাত্র, কাঁচি, ছুরি, মগ, বালতি, বাটি, ইত্যাদি দিয়ে মোমবাতি বানানো হয়।

মোমবাতির কাঁচামাল

মোমবাতি বানানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কাঁচামালের প্রয়োজন হয়ে থাকে। যেমন সাদা মোম বা প্যারাফিন, ইস্টায়ারিক এসিড, সুতি সুতা, রং, পেকেট করার জন্য কাগজ, সয়াবিন তেল, লেবেল,আঠা ইত্যাদি হলো মোমবাতি বানানোর কাঁচামাল।

See also  পাইকারি ব্যবসা! ২০ টি লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

কাচাঁমালের দাম

মোমবাতি বানানোর কাচামালের দাম বেশি না। দুই সেট ডাইস কিনতে হবে ২০০০০ টাজকা। ইস্টারিক হচ্ছে ২৫ কেজু বস্তা ১ বস্তার দাম ৩০০০ টাকা।  দাম আবার কমে বারে। এসিট, রং, পেকেট ইত্যাদি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কিনে নিবেন।

 

মোমবাতি বানানোর পদ্ধতি

প্রথমে আপনাকে ডাইস গুলো ভালো ভাবে তেল দিয়ে মুছতে হবে। তারপর সুতা লাগাতে হবে। তারপর আপনার পাতিলের গলা মোম গুলো মগে উঠিয়ে আল্ত গারা করে ডাইস এর মধ্যে ঢেলে দিতে হবে। তারপরে মোমবাতি শক্ত হবার জন্য আপনাকে ৫-৬ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে এর পর ডাইস থেকে মোমবাতি বাহির করতে হবে।

মোমবাতি বানানোর সুবিধা

বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে যে কোন কাজিই করুক না কেন লোকের প্রয়োজন হয়ে থাকে। কিন্তু মোমবাতি বানানোর জন্য কোন লোকের প্রয়োজন হয়না। মোমবাতি বানাতে খরচও কম হয়। অতিরিক্ত কোন জামেলা নাই। একাই মোমবাতি বানাতে পারবেন।

মোমবাতি বানানোর অসুবিধা

মোমবাতি বানানোর অসুবিধা গুলো হল পাখা না থাকা। অতিরিক্ত গরম মোম ডাইসে ডালিলে শক্ত হতে অনেক সময় নিবে। তাছারা মোম বানানো ভালো হবে না।আর এই মোম নিয়ে আপনি মার্কেট করতে পারবেন না। তাছারা গরম মোম ডাইসে দিলে আবার আটাও লেগে যাইতে পারে।

মোমবাতি প্যাকেজিং

মোমবাতি পেকেট করতে যা লাগে প্রথমে আপনাকে পলেথিন নিতে হবে। তার পর পলিথিনের বিতরে মোমবাতি বরতে হবে। তারপর লেবেল লাগাতে হবে। তারপর সেলিং মেশিন বা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পেকেট জোড়া লাগাতে হবে।

বাজার জাতকরন

মোমবাতি তৈরি করে নিজের এলেকার দোকান পাট বা বাজারের দোকান পাটে পাইকারি বা খুচরা বিক্রি করতে পারেন। আপনি চাইলে অন্য লোক দিয়েও মার্কেটিং করাতে পারেন। যাদের দিয়ে মার্কেটিং করাবেন তাদের কে % দিয়ে দিবেন দেখবেন আপনার পণ্য ও বেশি চলবে আবার লাভ ও বেশি হবে। এতে আপনার পণ্যের চাহিদাও বেশি থাকবে। তাছারা মার্কেট দরে রাখতে হলে আপনার অতিরিক্ত লোকের প্রয়োজন। তাহলে আপনি আপনার মোমবারির কোম্পানি টিকে রাখতে পারবেন। বিভিন্ন মার্কেট এ বিভিন্ন লোক দিয়ে মার্কেটিং করাবেন যাতে করে মার্কেট গুলা ভালো ভাবে দরে রাখতে পারেন। আপনি ইচ্ছা করলে বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনলাইন ও মার্কেটিং করতে পারেন।

See also  হাসেঁর খামার! ৫ হাজার টাকা পুজি নিয়ে মাসে ইনকাম করুন ৫০ হাজার টাকা

কেমন টাকা লাভ হয়

লাভ আপনার পণ্য বিক্রির ওপর ডিপেন্ড করবে।যতো বেশি পণ্য সেল দিতে পারবেন ততো বেশি লাভ হবে। লাভের আশা করিলে পণ্যের মান ভালো করতে হবে। যাতে করে দোকান দাররা আপনার পণ্য পেয়ে অন্য কানো পণ্যের আশা না করে সেই দিকে আপনার খেয়াল রাখতে হবে।আনোমানিক প্রতি দিনে ২৫০ পেকেট মোমবাতি বিক্রিয় করার পর খরচ বাদে ১০০০ টাকা লাভ করা সম্ভব। গড়ে আপনার প্রতি মাসে ২৫০০০ থেকে ৩০০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।