বর্তমান বাংলাদেশে বসবাসের জন্য সব থেকে কষ্টর বিষয় হলো মশার যন্ত্রনা। রাত্রে বেলায় দেখা যায় যে মশার যন্ত্রনায় ঘুমানো যায় না। সে জন্য আমরা কয়েল বা মশারি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় যে ১০০ থেকে ৯৫% মানুষেই কয়েল ব্যবহার করে থাকেন।
আর মশা মারার জন্য কয়েলের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
বর্তমানে দেখা যাইতেছে যে বাংলাদেশে প্রতিটি পরিবারে কয়েল ব্যবহার করে থাকেন। সে জন্য আমাদের দেশে কয়েলের অনেক চাহিদা রয়েছে। তাছারা বাংলাদেশে কয়েলের মার্কেট হচ্ছে অনেক বড় একটি মার্কেট। এই ব্যবসা করলে অনেক লাভবান হওয়া যায়। আপনি ইচ্ছা করলে কয়েল এর ব্যবসা করতে পারেন। কয়েল এর পাইকারি ব্যবসা হলো কোন উৎপাদনকারির কাজ থেকে আধিক পরিমানের পণ্য ক্রয় করে তা খুচরা বাজারে বিক্রি করা কে পাইকারি ব্যবসা বলা হয়।  তাছারা এই ব্যবসা তিন ভাবে করতে পারেন।
০১. কয়েল তৈরি ফ্যাক্টরি দিয়ে।
০২. আপনি নিজে ফ্যাক্টরি থেকে কিনে মার্কেটিং করতে পারেন।
০৩. ডিলারশিপ নিয়ে এই ব্যবসা করতে পারেন

১. কয়েল তৈরি ফ্যাক্টরি

কয়েল ফ্যাক্টরির, জন্য প্রথমে আপনাকে একটি জায়গা নির্বাচন করতে হবে।তার পর, আপনি সেখানে একটি কারখানা তৈরি করতে হবে। তারপর, সেখানে যা করতে পারেন সর্বনিম্ন ৩৫০০০০ টাকা থেকে ৭৫০০০০ টাকার মেশিন দিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার এই ব্যবসা। আপনার ফ্যাক্টরি তৈরি করার পরে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়াদ জন্য আবেদন করতে হবে। আর সরকারের কাছে অনুমোদন নিতে গেলে যে সব কাগজ গুলো আপনার অবশ্যই লাগবে৷ তা নিম্নে দেওয়া হলো:
 ০১. পি এস পি লাইসেন্স
০২. ট্রেড লাইসেন্স
০৩. ট্রেডমার্ক
০৪. ফায়ার লাইসেন্স
০৫. কারখানার লে আউট
০৬. প্রসেস ফ্লোর্চাট
০৭. পরিবেশের ছাড় পত্র
০৮. বি এস টি আই লাইসেন্স নিতে যদি সরকার মনে করে আপনার কাছ থেকে আরো কাগজ ও লাইসেন্স লাগবে, তাহলে সেগুলো আপনাকে অবশ্যই জমা দিতে হবে ।
কয়েল তৈরি, করার জন্য  বিভিন্ন দরনের কাঁচামালের প্রয়োজন। কি কি কাচামাল লাগে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো।
বিভিন্ন ধরনের গাছের কাট,নারিকেলের ছোভা,বালু ইত্যাদি প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাছারা বিভিন্ন ধরনের ক্যামিকেল এর প্রয়োজন যেমন

পাইরেথ্রাম

See also  খুচরা ব্যবসা কি? খুচরা ব্যবসার গুরুত্ব

এমজিকে এন

বি এইচটি

ডাইমফ্লথ্রিম

এমবিথোথ্রিন
উপরে যেই সব ক্যামিকেল আছে ওই ক্যামিকেল দিয়ে কয়েল  বানাতে হবে। তার, আগে আপনাকে অবশ্যই ভালো এবং দক্ষ কারিগর দিয়ে কয়েল বানাতে হবে। যাতে করে, কয়েল বানানোর সময় ক্যামিকেল কম বা বেশি ব্যবহার না করে থাকেন। ক্যামিকেল কয়েলে বেশি পরলে মানুষের ক্ষতি হতে পারে। আবার, যদি কম ক্যামিকেল পরে তাহলে কয়েল কোন কার্যকর হবে না। সে জন্য, আপনার ফেক্টরিতে দক্ষ কারিগরের প্রয়োজন।

কয়েল বানানোর লাভ

কয়েল, তৈরি করার সময় আপনার চিন্তা বাভনা করে কয়েল বানাতে হবে। যাতে করে, লোকসানের মুখ দেখতে না হয়। দশ টাকার কয়েলে প্রতি কটনে লাভ হবে ২-৩ শত টাকা। আর আট টাকার কয়েল এ লাভ হবে ২৫০-৩৫০ টাকা। পাচঁ টাকার কয়েল এ লাভ একটু কম হবে ৫০-১০০ টাকা।

কয়েল বানানোর যন্ত্রপাতি:

৮০ কেজি মিক্সার মেশিন
দুই সেট কয়েল কাটিং মেশিন
দুই রকমের দুই সেট কয়েল ডাইস
হাইপ্রেসার কুন্ডলি লেয়ার স্রোব তৈরি মেশিন

কয়েল পেকেজিং

কয়েল বানানোর পরে পেকেট করতে হবে। তার জন্য এমন ডিজাইনের পাকেট তৈরি করতে হবে যাতে করে ক্রেতারা আপনার পণ্যটা ক্রয় করতে আগ্রহ হয়। ক্রেতাদের নজর কারার মতো পেকেটের ডিজাইন করতে হবে। তারপর, ১০টা কয়েল করে পেকেটে বরতে হবে। তারপর, আঠা বা কস্টিপ দিয়ে লাগাতে হবে।

২. কয়েলের মার্কেটিং করা:

আপনি নিজে কয়েল তৈরি না করেও এই ব্যবসা করতে পারেন। ফ্যাক্টরি থেকে কিনে এনে বাজারে বা গ্রামের দোকান গুলোর মধ্য পাইকারি বিক্রি করতে পারেন।  এতে দেখা যায় যে, আপনি মাসে ৩০০০০-৪০০০০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

০৩. কয়েলের ডিলারশিপ

কয়েল ডিলারশিপ, ব্যবসা করতে হলে আগে আপনাকে কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। ডিলারশিপ নিতে হলে বেশি টাকার প্রয়োজন হয় না। অল্প টাকা পুজি হলেই যথেষ্ট। ডিলার হলো, কোন কোম্পানির পণ্য বিপনণ এবং বন্টন সহ যাবতীয় কাজ যিনি দায়িত্ব পালন করেন তাকে ডিলার বলা হয়। কয়েলের ডিলারের ব্যবসায় কোন লোকসান নাই। এক কথায় বলা যায়, অল্প টাকা পুজি নিয়ে ব্যবসা করে অনেক লাভবান হওয়া যায়।

কয়েলের ডিলারশিপের লাভ

কয়েল, এর ডিলার নেওয়ার সময় আপনার সাথে টাকার একটা চুক্তি থাকবে কোম্পানির সাথে। কোম্পানি আপনাকে মাসিক একটা টারগেট দিবেন ওই টার্গেট আপনি করতে পারলে আলেদা ভাবে আপনাকে কমিশন দিবেন। আপনার লাভ থাকবে যতো টাকার মাল বিক্রয় করবেন তার ওপর % থাকিবে। ওই টা আপনার ডিলারশিপ নেওয়ার সময় কোম্পানির  সাথে আলোচনা করে নিতে হবে। আপনার মাথায় রাখতে হবে যে পণ্য যদি স্লো চলে তাহলে % বাড়িয়ে দিতে হবে।