সারা বিশ্বের প্রাই ৭৫% মানুষ বর্তমানে প্রতিনিয়ত ব্যবসা করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। কারণ ব্যবসা করা একটা সহজ কাজ। নিজের সাদিনতা বজায় রাখতে পারেন। নিজের ইচ্ছায় অনইচ্ছায় কাজ করতে পারেন। অন্যের অধিনে কাজ করার প্রয়োজন হয় না। যখন ইচ্ছা হলো কাজ করলেন যখন ইচ্ছা হলো না কাজ করলেন না এতে কাউকে কৈইফত দিতে হবে না। তাছারা ব্যবসা একটা বৈধ পেশা। আর বর্তমানে ব্যবসা করতে বেশি পুজি লাগে না। আপনি যদি নতুন ব্যবসার উদ্ধেক্তা হন তাহলে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে আপনি সহজোগিতা পেতে পারেন। তাছারা চাকরি থেকে ব্যবসা করা অনেক ভালো। অল্প টাকা পুজি খাটিয়ে অনেক টাকা লাভ হওয়া যায়। এই জন্য বিশ্বের ৭৫% মানুষ সবাই নিজের কর্মসংস্থান হিসাবে ব্যবসা বেছে নিয়ে থাকেন। তাছারা বর্তমানে বাংলাদেশ অল্প টাকা পুজি নিয়ে অনেক ধরনের ব্যবসা করতে পারা যায়। ব্যবসার সাথে কোন জিনিস তুলনা করা যায় না। ব্যবসা একটা হালাল টাকা ইনকাম করার কাজ। তাই সবাই বুঝে শুনে ব্যবসা করবেন। তাছারা যারা নিজেরা সফল হতে চান অন্যের অধীনে কাজ না করে। তাদের জন্য কয়েকটি ব্যবসার আইডিয়া দেওয়া হইলো।তাই আর দেরি না করে আজিই আপনার কর্মস্থান হিসাবে এই ব্যবসা গুলা বেছে নিতে পারেন।
১ . ব্রাশের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা
২ . মাছের পাইকারি ব্যবসা
৩ . কাচাঁমালের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা
৪ . দুধের পাইকারি ব্যবসা
৫ . পুরাতন জিনিস পত্র ক্রয় বিক্রয়
১। ব্রাশের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা
ব্রাশ এর ব্যবসা হলো বর্তমানে সব থেকে লাভজনক পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা এবং ভালো একটা ব্যবসার আইডিয়া । মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার করা বিভিন্ন জিনিসপত্রের মধ্যে অন্যতম হলো ব্রাশ। যা মানুষ দৈনিক ব্যবহার করে থাকেন। বর্তমানে দেখা যায় যে গ্রামে এবং শহর গুলোতে প্রতিটা পরিবারের মানুষ ব্রাশ ব্যবহার করে থাকেন। তার জন্য ব্রাশ এর অনেক চাহিদা রয়েছে। তবে আমাদের বাংলাদেশে চায়না ব্রাশের একটু বেশি চাহিদা। এই দেশের অধিকাংশ মানুষ চায়না ব্রাশ ব্যবহার করে থাকেন। তাছারা বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ব্রাশের কারখানা রয়েছে। আপনি ইচ্ছা করলে সরাসরি কারখানা থেলে ব্রাশ ক্রয় করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাছাড়া ব্যবসার জগতে সব থেকে লাভবান ব্যবসা হলো ব্রাশ এর ব্যবসা। তাছারা এই ব্যবসা করতে বেশি পুজি লাগে না। পাইকারি ব্যবসা করলে দশ হাজার টাকা পুজি নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আর যদি আপনি মনে করন যে খুচরা ব্যবসা করেন তাহলে দুই হাজার টাকাই নিয়েই করতে পারবেন। তাই তরুণ -তরুণীরা এই ব্যবসা নিজেদের কর্মস্থান হিসাবে বেছে নিতে পারেন।
ব্রাশের দাম
বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে ব্রাশ আমদানি হয়ে থাকেন। তাই বাংলাদেশে ব্রাশের দাম অনেকটাই কম। বর্তমানে সর্বনিম্ন ব্রাশের দাম ১২০ডজন এবং সর্বোচ্চ দাম ৫০০ টাকায় ডজন পাইকারি কিনতে পাওয়া যায়। দেশি – বিদেশি বিভিন্ন ধরনের ব্রাশ পাওয়া যায়। এই ব্রাশের দাম একেকটা ওকেক দামে পাওয়া যায়। চায়না ব্রাশের দাম যে রকম বেশি তেমন চাহিদা ওভালো আছে।পাচঁ হাজার টাকার ব্রাশে আপনি ইচ্ছা করলে তিন হাজার টাকাই ইনকাম করা সম্ভব । বর্তমানে দোকান দাররা বার টাকা ব্রাশ কিনে ৩০-৪০ টাকা বিক্রয় করেন আবার ত্রিশ টাকার ব্রাশ কিনে সত্তর টাকায় বিক্রয় করেন। আপনি যদি প্রতিদিন যদি আনুমানিক ত্রিশ ডজন থেকে চল্লিশ ডজন ব্রাশ বিক্রয় করতে পারেন তাহলে লাভ হবে প্রায় ১০০০-১৫০০টাকা। মাসে আসতাছে ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা। তাই আর দেরি না করে আজিই আপনি এই ব্রাশের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
২। মাছের ব্যবসা
মাছ হচ্ছে মানুষের দৈনিক খাবারের মধ্যে অন্যতম চাহিদা। উচ্চস্থান মানুষ থেকে নিন্মবিত্তের পর্যন্ত সবারি মাছের অনেক চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেত মাছ না হলে চলেই না। তাছারা বর্তমানে মাছের ব্যবসার অনেক চাহিদা রয়েছে। কারণ মাছের ব্যবসা করতে বেশি পুজি লাগে না। বিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা হলেই এই ব্যবসা করা যায়। মাছের ব্যবসার মধ্য অনেক টাকা লাভ করা যায়। ত্রিশ হাজার টাকা পুজি নিয়ে মাছের ব্যবসা করে মাসে ৭০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মানুষের দৈনিক খাবারের মধ্যে মাছ হচ্ছে অন্যতম খাদ্য। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের মাছের চাহিদা বেশি রয়েছে। তাই আর দেরি না করে আজিই আপনার কর্মসংস্থান হিসাবে এই ব্যবসা বেছে নিতে পারেন।
৩। কাঁচামালের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা
কাচাঁমাল হচ্ছে মানুষের নিত্তপ্রোয়জনিয় খাদ্য।আর এই কাচাঁমালের পাইকারি ব্যবসা হলো উৎপাদকারির কাছ থেকে অধিক পরিমানের কাচাঁমাল ক্রয় করে খুচরা ব্যবসাহীর কাছে পাইকারি বিক্রয় করাকে পাইকারি ব্যবসা বলা হয়। খুচরা ব্যবসা হলো পাইকারি মালামল ক্রয় করে চুরান্ত ভোক্তার কাছে হস্তান্তর করাকে খুচরা ব্যবসা বলা হয়। বর্তমানে কাচাঁমালের পাইকারি ব্যবসায় জড়িত অনেক ব্যবসায়ী। কারণ পাইকারি ব্যবসায় করে অধিক পরিমাণে লাভবান হওয়া যায়। তাই বাংলাদেশের ৫০% ব্যবসায়ী পাইকারি ব্যবসায়ীর সাথে জরিত। তাছারা বাংলাদেশে সবচেয়ে অন্যতম পাইকারি ব্যবসা হলো কাঁচামালের পাইকারি ব্যবসা। ব্যবসার জগতে সবচেয়ে লাভবান ব্যবসা হলো এই কাঁচামালের ব্যবসা। আবার এই ব্যবসায় যেরকম লাভবান হওয়া যায় আবার সেই একই রকম লোকসানও হয়।
৪। দুধের পাইকারি ব্যবসা
বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়া ও সারাবিশ্বের মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের প্রতিটি দেশের নানা ধরনের খাবারের চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন দোকান পাটে যা পাচ্ছে তাই ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। তার মধ্যে বাংলাদেশে অন্যতম যার প্রতিটি মানুষের এসব খাবারের মধ্যে সবচেইয়ে পুষ্টি খাবার এর চাহিদা বেশি রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে পুষ্টি খাবার হলো দুধ। আর এই দুধ মানুষ দোকান পাট থেকে কিনে তাদের পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে থাকেন। কিন্তু এই দুধ কি সঠিক পুষ্টি চাহিদা মেটানো যায় কি। কেনোনা আমাদের এই বাংলাদেশে ভেজালের ভিড়ে খাটি দুধ পাওয়া অসম্ভব এবং অনেক কষ্টকর হয়ে থাকেন। বর্তমানে এই সমস্যা বিশ্বের প্রতিটি দেশেই রয়েছে। দুধ হচ্ছে আল্লাহর দেয়া গাইবিজিনিস। এই দুধে রয়েছে অনেক পুষ্টি যার কারণে শহরের মানুষ গুলো খাটি দুধের অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি চাইলে খাটি গরুর দুধ বিপণন শুরু করতে পারেন। তাই আপনার কর্মসংস্থান হিসাবে এই দুধের পাইকারি ব্যবসা টি বেছে নিতে পারেন।
৫। পুরাতন জিনিস পত্র ক্রয় বিক্রয়
বর্তমানে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে পুরাতন মালামাল দিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়। কারণ দেখা যায় যে নতুন এর চেয়ে পুরাতন মালামাল অনেক ভালো পাওয়া যায়। আবার দাম ও অনেক কম পাওয়া যায়। পুরাতন মালা-মাল ক্রয় বিক্রয় করার জন্য সারা বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের অসংখ্যা ওয়েবসাইট রয়েছে। আর এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সারা বিশ্বে অনেক ধরনের পুরাতন জিনিস পত্র ক্রয় বিক্রয় করে থাকেন। বর্তমানে পুরাতন জিনিস পত্র ক্রয় বিক্রয়ের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় সাইট হলো ফেসবুকের মাধ্যমে পুরাতন মালা-মাল বিক্রয় করা। আর এই রকম ব্যবসা করতে বেশি পুজির প্রয়োজন হয় না। তাছারা বর্তমানে বাংলাদেশে পুরাতন জিনিস পত্রসমূহ ক্রয় বিক্রয়ের জন্য একটি বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট হল Bikroy.com। আর আপনি ইচ্ছা করলে এই Bikroy.com এর মাধ্যমে পুরাতন জিনিস পত্র ক্রয় বিক্রয় করার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।