বাংলাদেশে মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার সাথে বাড়ছে নানা ধরনের খাবারের চাহিদা। বিভিন্ন দোকান পাটে যা পাচ্ছে ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিটি মানুষের এসব খাবারের মধ্যে সবচেয়ে পুষ্টি খাবার এর চাহিদা বেশি রয়েছে। এর মধ্যে দুধ হলো সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবার। আর এই দুধ মানুষ দোকান পাট থেকে কিনে তাদের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে থাকেন। কিন্তু এই দুধ কি সঠিক পুষ্টি চাহিদা মেটানো যায়। কেনোনা আমাদের এই বাংলাদেশে ভেজালের ভিড়ে খাটি দুধ পাওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে থাকেন। এই সমস্যার জন্য আপনি চাইলে খাটি গরুর  দুধ বিপণন শুরু করতে পারেন। আর এই ব্যবসাটি ইচ্ছা করলে আপনি অনলাইনে পরিচালনা করতে পারেন। আর এই ব্যবসা করতে আনেক পুজি কম লাগে। অল্প পুজিতে আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন।

কি ভাবে এই ব্যবসা শুরু করবেন

প্রথমে আপনাকে একটি বাইসাইকেল কিনতে হবে। তারপর আপনাকে একটি বালতি, টাক,পোয়া বা স্কেল কিনতে হবে। তারপর আপনি বিভিন্ন খামার বা যার বাড়িতে গাভির দুধ পাওয়া যার তাদের কাছ থেকে আপনি কিনে আনতে পারেন। আর এই দুধ কিনে আপনি বাজারে বা চায়ের দোকানে বিক্রয় করতে পারেন। তাছারা বাজারের হোটেল গুলোর মধ্যে ও বিক্রয় করতে পারেন। তাছারা আপনি ইচ্ছা করলে এই দুধের ব্যবসা বোতল জাত করে বাজারে বা বাড়ি বাড়ি বিক্রয় করতে পারেন। তাছারা আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে দুধ গুলা যেন নস্ট না হয়।

দুধ সংগ্রহ

দুধ সংগ্রহ করার জন্য আপনাকে প্রথমে দুধ চিনতে হবে। তারপর বিভিন্ন বাড়ি বা খামারের মালিকদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। এবং ভালো জাতের গাভীর দুধ সংগ্রহ করতে হবে। তাছারা ভালোজাতের গাভীর দুধ সংগ্রহ না করিলে দুধ নস্ট হবার সম্ববনা বেশি থাকে। এতে আপনার ব্যবসা অনেক লোকসান হয়ে যাবে। সে জন্য আপনাকে দেখে শুনে দুধ সংগ্রহ করতে হবে।

See also  যাত্রাবাড়ী পাইকারি বাজার!

নিজে গাভি পালন করে দুধ সংগ্রহ

বর্তমানে বাংলাদেশ অনেক দুধের ব্যবসায়ী আছে যারা নাকি নিজেরা খামার তৈরি করে দুধ সংগ্রহ করে। খামারে ভালো জাতের গাভি পালন করে যাতে করে দুধ ভালো হয়। তাছারা নিজে খামার থেকে দুধ সংগ্রহ করলে বাজারের অনন্য দুধে ব্যবসায়ী থেকে কম দামে দুধ বিক্রি করতে পারবেন।

দুধের ব্যবসায় লাভ

লাভ হচ্ছে আপনার নিজের ওপর আপনি যত বেশি দুধ বিক্রি করতে পারবেন ততো বেশি লাভ হবে। আপনি যদি প্রতি দিন ১০০ থেকে ১৫০ কেজি দুধ ১৫ টাকা লাভ করে বিক্রয় করতে পারেন তাহলে আপনার লাভ হবে ১৫০×১৫= ২২৫০ টাকা প্রতিদিনের লাভ তাহলে প্রতি মাসে আসতাছে ২২৫০×৩০=৬৭৫০০ টাকা প্রতি মাসে আপনার লাভ আসতাছে।

 দুই ভাবে এই ব্যবসা করা যায়

১.  আপনি নিজে দুধ দিয়ে দই বানিয়ে বিক্রয় করতে পারেন। আপনার এলেকার দোকান পাটে পাইকারি বিক্রয় করে অনেক লাভবান হতে পারবেন। তাছারা আপনাকে এই ব্যবসার জন্য অতিরিক্ত লোক খাটাতে হবে না। আপনি একাই করতে পারবেন। আপনি যদি ব্যবসা বড় করতে চান তাওকরতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে আতিরিক্ত লোক খাটাতে হবে।

২.  বর্তমানে আমাদের দেশে মাঠার অনেক চাহিদা রয়েছে। একটু গরম পরিলে আমাদের দেশে সকলে ঠন্ডা খেতে চায় এবং এই মাঠা খেলে শরিরের জন্য অনেক পুষ্টি থাকে। কাজেই আপনি এই ব্যবসাটা খুব সহজে করতে পারবেন। তাছারা এই ব্যবসায় পুজিও অল্প লাগে। এই ব্যবসা করে আপনি মাসে ২৫০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ব্যবসায় পরিচালনা

এই রকম ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে অতিরিক্ত লোকের প্রয়োজন হবে না। হ্যা আবার হতেও পারে দুধ সংগ্রহ করার জন্য। আপনি যদি একা একা না পারেন ব্যবসা সামলাতে তাহলে আপনার ব্যবসার জন্য অতিরিক্ত লোকের প্রয়োজন হবে। সেই ক্ষেত্রে আপনি অতিরিক্ত লোকে নিতে পারেন।পরিবারের লোকজন মিলেই এই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।

See also  পাইকারি ব্যবসা কি? লাভজনক ৫ টি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া