মানুষের দৈনিক খাবারের মধ্যে মাছ হচ্ছে অন্যতম খাদ্য। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের মাছের চাহিদা বেশি রয়েছে। কারণ তারা দৈনিক মাংস পুলাও খাইতে পারেনা। সে জন্য তাদের মাছের দিকে চাহিদা একটু বেশি। মাছ এমন একটি খাবার যা প্রতিটা মানুষের চাহিদা রয়েছে। তাছারা মাছ প্রতিটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের চাহিদা বেশি হয়ে থাকেন। যেমন বিবাহ, বৌভাত,এবং মোসুলমানির অনুষ্টানে মাছের চাহিদা বেশি রয়েছে। তাছারা বিভিন্ন হোটেলে ও মাছের অধিক চাহিদা। তাছারা আপনি ইচ্ছা করলে মাছের ব্যবসা করতে পারেন। আর এই মাছের ব্যবসা করতেও বেশি পুজি লাগেনা। অল্প পুজিতে বেশি লাভ। তাছারা এই ব্যবসায় বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। বাংলাদেশি এই রকম অনেক মাছের ব্যবসায়ী আছে যারা নাকি মাসে এক লাখ টাকা ইনকাম করতেছে। কাজেই আমরা ওই দিকে নজর না দিয়ে আপনি আপনার ব্যবসা কি ভাবে করবেন সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মাছের ব্যবসায়ের যন্ত্রপাতি
বর্তমানে বাংলাদেশে যে কোন ব্যবসা করুক না কেন ওই ব্যবসায় কিছু না কিছু যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয়ে থাকে। তেমনি মাছের ব্যবসা করতে হলে যন্ত্রপাতির দরকার। যেমন ডালা,খারি,পাল্লা বাটকিরা বা স্কেল এর প্রয়োজন।আর এই ব্যবসা আপনি ইচ্ছা করলে তিন ভাবে করতে পারবেন।
০১. সরাসরি উৎপাদকারীর কাছ থেকে মাছ কিনে বাজারে খুচরা বিক্রয় করা।
০২. যাত্রাবাড়ী আড়ৎ থেকে মাছ কিনে খুচরা বিক্রয় করা।
০৩. আপনি নিজে মাছ উৎপাদন করে বাজারে খুচরা বিক্রয় করা।
সরাসরি উৎপানকারীর কাজ থেকে
বর্তমানে ব্যবসা অনেক কঠিন হয়ে পরেছে। আপনি যদি মাছ কিনে লাভ না করতে পারেন তাহলে বেছেও লাভ করতে পারবেন না। সে জন্য আপনি যদি সরাসরি উৎপাদনকারীর কাজ থেকে মাছ কিনে সরাসরি ভোক্তাদের কাছে পৌছে দিতে পারেন তাহলে আপনি অধিক লাভবান হবেন।
পাইকারি মাছের আড়ৎ
যাত্রাবাড়ী আড়ৎ
বর্তমানে সারা বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় মাছের বাজার হলো যাত্রাবাড়ী। এই যাত্রাবাড়ী থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন পাইকাররা এশে মাছা কিনে তাদের বাজারে বিক্রয় করে থাকেন।বর্তমানে সারা বাংলাদেশের জন্য জনপ্রিয় বাজার হলো এই যাত্রাবাড়ি বাজার। এখানে বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন মাছ চাষিরা মাছ নিয়ে আসেন বেচার জন্য। যাত্রাবাড়ী থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাছ ছড়িয়ে পরেন। যাত্রাবাড়ী মাছ বেচাকিনা শুরু হয় রাত বারটার পর থেকে পরের দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত। বিভিন্ন জেলার পাইকাররা পিক আপ ভ্যান নিয়ে আসে মাছ নেওয়ার জন্য। তার পর থেকে শুরু হয় খুচরা বেচাকেনা। সারা দিন এ চলতে থাকে এই বেচাকেনা। আপনি ইচ্ছা করলে যাত্রাবাড়ী থেকে মাছ পাইকারি এনে আপনার নিজের এলেকার বাজার গুলোতে খুচরা বিক্রয় করতে পারেন।
মাছ উৎপাদন করে
আপনি চাইলে নিজে মাছ উৎপাদন করে বাজারে পাইকারি বা খুচরা বিক্রয় করতে পারেন। যদি খুচরা বিক্রয় করেন তাহলে আপনার লাভ একটু বেশি হবে। তবে বর্তমানে যে কোন মাছের চাহিদা রয়েছে। আর যদি পাইকারি বিক্রয় করেন তা হলে একটু লাভ কম হবে। তাছারা মাছ বিক্রয় করতে হলে প্রতিটা গ্রামে ছোট ছোট বাজার গুলোতে অধিক লাভ করে মাছ বিক্রয় করতে পারবেন।
পরিশেসে একটা কথা বলতে চাই ব্যবসায়ের সাথে কোন জিনিসেকে তুলোনা করবেন না।। ধন্যবাদ ।