বাংলাদেশের প্রায় ৪০% মানুষ বেকার গুরে বেরাচ্ছেন। তারা নিজের কর্মসংস্থান এখনো খুজে পাচ্ছেন না। তারা কি কর্মসংস্থান নিয়ে উদ্ধক্তা হবেন তা প্রতি নিয়ত চিন্তা করে থাকেন। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যবসা হলো একমাত্র সহজ কাজ। আপনার যদি কিছু টাকা পুজি থাকে তাহলে অনেক ছোট ছোট বা নতুন নতুন ব্যবসা আছে যা আপনি অল্প টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন । সেই রকম কিছু নতুন নতুন ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কিছু লেখব। আপনি চাইলে এই আইডিয়া নিয়ে নিজের কর্মসংস্থান হিসেবে এই ব্যবসা গুলো বেছে নিতে পারেন।
মাস্ক তৈরির ব্যবসা
Mask making business
এই করোনা মহামারী সারাবিশ্বের মধ্যে মাস্ক এর ব্যবসা হয়ে ওঠেছে অনেক জনপ্রিয়। আগের সময়ে যখন করোনা মহামারী ছিলোনা তখন মাস্ক কি, সেটা কেও চিনতেননা, চিন্ত তবে খুব কম মানুষ। তবে এখন প্রত্যেকেই নিজেকে করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ রাখার জন্য ফেস মাস্ট (face mask) ব্যবহার করে থাকেন। তাই, আপনিও চাইলে মাস্ক (mask) তৈরি করার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মাস্ক তৈরির ব্যবসা করতে বেশি পুজি লাগে না। মাস্ক তৈরি ( mask making) করতে তেমন বিশেষ কিছুর প্রয়োজন হয়না। আপনি চাইলে হাতে সেলাই করেও মাস্ট তৈরি করা সম্ভব।
তাই, এই ব্যবসাটি ভালো করে করতে পারলে অনেক লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অনলাইন কোর্স
Online courses
বর্তমানে সারাবিশ্বে অনেক মানুষ আছে যারা অনলাইনে কোর্স কেনা বেচা করে মাসে লাখ লাখ ডলার ইনকান করছে। আপনি যদি ভালো রাইটিং,ওয়েবডিজাইনার, ভিডিও এডিটং ইত্যাদি এর কাজ ভাল জানেন তাহলে এই কোর্স বানিয়ে অনলাইনে কোর্স বিক্রয় করে মাসে এক লাখ টাকা ইনকম করতে পারেন।
মার্কেটিং
Marketing
চা পাতার ব্যবাসা
Tea leaf business
চা, এর অনেক চাহিদা। বর্তমানে বাংলাদেশের ৯০% মানুষ চা পছন্দ করে থাকেন। চা এর দাম অনেক কম। ঢাকা কাপ্তান বাজার এবং ঢাকা চকবাজার চা কিনতে পাওয়া যায়। আপনি চা কিনে নিজের এলেকায় ছোট ছোট বাজার গুলোর মধ্যে চা বিক্রি করে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
পাইকারি ব্যবসা
wholesale business
জুতার পাইকারি ব্যবসা
Wholesale trade of shoes
ব্লগ
blogg
কাচামালের ব্যবসা
Trading in raw materials
দেশি মুরগী ব্যবসা
Domestic chicken business
মাছের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া
Profitable fish business ideas
কোয়েল পাখি ব্যবসা করার নিয়ম
Rules for trading quail birds
প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ব্যবসা করার নিয়ম
Rules of doing plastic recycling business
বর্তমানে নতুন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা। প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ব্যবসা হচ্ছে ব্যবহৃত প্লাস্টিক প্রক্রিয়াজাতকরণ করে পুনঃব্যবহার উপযোগী করে বিক্রি করা। বর্তমানে সারাবিশ্বে অনেক উদ্যোক্তা আছেন যারা নাকি প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ব্যবসা করতাছে। সাধারণত এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে ব্যবহৃত প্লাস্টিক সংগ্রহ করতে হবে। ভাঙ্গারির দোকান থেকে আপনি ব্যবহৃত প্লাস্টিক ক্রয় করতে পারবেন। পুরাতন প্লাস্টিক পণ্য সংগ্রহ করে সেগুলোকে মেশিন দিয়ে কেটে কুচি কুচি করে প্লাস্টিকের দানা তৈরি করতে হবে। বর্তমানে এই দানা আপনি প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কোম্পানিতে বিক্রি করতে পারবেন। প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কোম্পানিগুলোর কাছে এই দানার চাহিদা বেশি রয়েছে।
ডাটা এন্ট্রির কাজ
Data entry work
বর্তমানে ডাটা এন্ট্রির কাজ অনেক সহজ। সারাবিশ্বে অনেক মানুষই এই ডাটা এন্ট্রির কাজটি করতে সক্ষম হয়েছে। যদি আপনার ডাটা এন্ট্রির ব্যাপারে অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও আছে সেগুলো দেখে আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজের উপর আইডিয়া নিতে পারেন। বর্তমানে দেখা যায় বড় বড় মার্কেটপ্লেসে ডাটা এন্ট্রির কাজ প্রচুর পাওয়া যায়। অতএব আপনি নির্দ্বিধায় শিখে এ কাজটি করতে পারেন। এই কাজ করে অনেক মানুষ সাফল্য অর্জন করতে পারছে। আপনিও চাইলে নিজের কর্মসংস্থান হিসেবে এই ডাটা এন্ট্রির কাজ বেছে নিতে পারেন।
ফ্যাশন হাউজ
Fashion House
বর্তমানে ফ্যাশন হাউজ মানুষের মৌলিক চাহিদার একটি অন্যতম উপাদান। পোশাকের ব্যবহার আদি যুগে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত আছে আর ভবিষ্যতে থাকবে। পৃথিবীতে মানুষ যতদিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত পোশাকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে মানুষ চায় প্রতিদিন সুন্দর এবং মনোরম পোশাক ব্যবহার করতে। তাই পোশাকের অনেক চাহিদা রয়েছে। পোশাকের চাহিদা কখনোই শেষ হবে না বরং দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে কাপড়ের ব্যবসার অনেক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ব্যবসা হলো পোশাকের ব্যবসা। তাছারা ব্যবসার জগতে সবথেকে বেশি লাভবান হওয়া যায় পোশাকের ব্যবসায়। পোশাকের ব্যবসার ক্ষেত্রে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড় সব সময় ক্রয় করে রাখতে হবে। যাতে করে ক্রেতারা তাদের পছন্দের মতে কাপড় ক্রয় করতে পারে। ফ্যাশন হাউজ বা গার্মেন্টসের ব্যবসাটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে সারাবিশ্বে। ফ্যাশন হাউজ ব্যবসা হলো অত্যন্ত সম্মানের একটি ব্যবসা। এই ব্যব্যসা করে মোটা অংকের টাকা লাভ করতে পারেন। আপনার এলাকায় জনপ্রিয় বা বাজারে একটি ঘর নিয়ে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পুজি নিয়ে প্রতিমাসে ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এই ব্যবসায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন- ঈদ, পূজা ও ইত্যাদি উৎসবে। এছাড়াও শীতর সময়ে শীত নিবারনের পোশাকের প্রতি ক্রেতাদের অনেক চাহিদা থাকে।