বর্তমানে ব্যবসায়ের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হলো পাইকারি ব্যবসা। খুচরা ব্যবসা থেকে পাইকারি ব্যবসায় অনেক ভালো। পুজি একটু বেশি লাগে। তবে আপনি যত বেশি পুজি ইনবেস্ট করবেন আপনার তত বেশি লাভ হবে। তাছারা আপনি পাইকারি ব্যবসা করতে হলে উৎপাদনকারির কাছ থেকে আপনাকে ভালো মানের পণ্য ক্রয় করতে হবে। যাতে করে খুচরা ব্যবসায়ীরা আপনার পণ্যটাকে ক্রয় করতে ইচ্ছুক হন। আপনার হাতে যদি কিছু টাকা পুজি থাকে। আপনি ইচ্ছা করলে আজিই পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আর এই পাইকারি ব্যবসা করলে আপনি অনেক লাভবান হতে পারেন।
চাউলের পাইকারি ব্যবসা! ১ লাখ টাকা পুজি নিয়ে মাসে ইনকাম করুন ৫০ হাজার টাকা
চাউল হচ্ছে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। তাছারা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের প্রধান খাদ্য হচ্ছে ভাত। যার কারণে মানুষের প্রতিদিন চাউলের প্রয়োজন হয়ে থাকেন। যার কারণে এই ব্যবসা অধিকাংশ মানুষ করতে চায়। কিন্তু পুজির কারনে এই ব্যবসা করতে পারেনা। কারণ চাউলের পাইকারি ব্যবসা করতে হলে অনেক পুজির প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাছারা আপনার যদি পাঁচ লাখ টাকা পুজি থাকে তাহলে আপনি ইচ্ছা করলে চাউলের পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন।
আপনি যখন এই চাউলের পাইকারি ব্যবসা করতে যাইবেন তখন আপনার একটা দোকান বা গুদাম ঘর এর প্রয়োজন হবে। আপনার দোকানটা হতে হবে বাজারের মেইন গলিতে। যাতে করে পাইকাররা খুন সহজে আপনার দোকান্টা বাহির বা চিনতে পারে। তাছারা চাউলের গাড়ি রাখতে কোন সমস্যা না হয়।
চাউলের পাইকারি ব্যবসা করতে হলে আপনাকে প্রথমে যানতে হবে চাউলের নাম। কোনটা কি ধরনের চাউল। চাউল ভিবিন্ন ধরনের হতে পারে। কম বা বেশি দামের ও হতে পারে। সেই দিকে আপনাকে খেয়াল বা জানতে হবে।
আপনি যখন কোন পণ্য ক্রয় করতে যাবেন তখন ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রাখতে হবে। ভালো মানের পণ্য সবসময় ক্রয় করতে হবে। যাতে করে খুচরা ব্যবসায়ীরা আপনার পণ্যটাকে ক্রয় করতে ইচ্ছুক হন।
বর্তমানে সারা বাংলাদেশের জেলা গুলোতে চাল উৎপাদন করে থাকেন। তাছারা আপনার আশে পাশের এলেকা গুলোতেও চাউল উৎপাদন করে থাকেন। অইখান থেকে চাল সংগ্রহ করতে পারেন। তার পার চাল সংগ্রহ করার পরে প্রসেসিং করে ৫কেজি,১০কেজি বা ৫০ কেজি বস্তা করে মার্কেটে খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রয় করতে পারেন। এতে আপনার প্রতি বস্তা ৫০-১০০ টাকা লাভ হতে পারেন। আর যদি খুচরা বিক্রয় করেন তাহলে প্রতি বস্তায় ১০০-২০০ টাকা লাভ হতে পারে।
বর্তমান চালের বাজারে চালের দাম অনেক বেশি। আটাশ চাউল ৫৫ – ৬০ টাকা কেজি । আর মিনিকেটের দাম হচ্ছে ৭৫ – ৭০ টাকা কেজি। পুলার চালের দাম মোটা হচ্ছে ১০০ – ১১০ টাকা কেজি। আর চিকুন বা ছোট দানার চাল ১৩০ – ১৪০ টাকা কেজি। বাশমতির চালের দাম ১৫০ – ৩০০ টাকা কেজি।