গরুর খামার পরিকল্পনা

বর্তমানে আমাদের দেশের মানুষ লাখ লাখ টাকা হাতে নিয়ে গুরে বেরাচ্ছেন। তারা কি ব্যবসা নিয়ে উদ্যোক্তা হবেন । এই চিন্তা কিরে এক পা এগিয়ে দু পা পিচিয়ে আসে। এই পিচিয়ে আসার কারণে তারা সফল উদ্যোক্তা হতে পারে না।  সফল উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে সামনে এগিয়ে আসতে হবে। আর আপনি যদি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চান তবে আপনার হার না মানা মনোভাব থাকতে হবে। আর আপনার এই রকম মনোভাবে আপনাকে সামনে এগিয়ে নিতে সাহয্য করবে। আর সেই রকম উদ্যোক্তাদের জন্য আমরা একটা গরুর খামারের ব্যবসা নিয়ে এই পোস্ট এ আলোচনা করব। বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে গরুর অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি ইচ্ছা করলে ৫ লাখ টাকা নিয়ে গরুর খামার তৈরি করতে পারেন। আর এই খামারের ব্যবসা করে আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন।

গরুর খামার করতে কত টাকা লাগবে?

গরুর খামার করতে বেশি টাকা লাগে না। ঘর করার জন্য ১ লাখ টাকা আর গরু ক্রয় করার জন্য ৫ – ১০ লাখ টাকা হলেই আপনি গরুর খামার তৈরি করতে পারবেন। আসুন যেনে নেই কি ভাবে খামার তৈরি করবেন।

গরুর খামারের জন্য স্থান নির্বাচন

গরুর খামারের জন্য এমন একটা জায়গা বা স্থান নির্বাচন করতে হবে যেখানে আলো বাতাস এবং বৃষ্টি বা র্বষা কালে পানি জমে না থাকে। তাছারা গরুর ময়লা আর্বজনা ফেলতে সুবিধা হয় সেই রকম জায়গা বা স্থান নির্বাচন করতে হবে।

See also  অল্প টাকায় গরুর খামার তৈরি

গরুর খামার করতে কি কি লাগে?

গরুর খামার তৈরি পদ্ধতি

জায়গা নির্বাচন করার পরে ঐ জায়গায় একটি খামার ঘর বানাতে হবে। খামার বানাতে হলে আপনার কি কি প্রয়োজন তা আলোচনা করা হলো। প্রথমে আপনার ইট বালুর সিমেন্ট প্রয়োজন। তারপর কাট,টিন,বাস ইত্যাদি প্রয়োজন। আপনি যদি ১০ টা গরু দুই সারিতে পালন করতে চান তহলে আপনাকে খামারটা করতে হবে ২০ ফুট লম্বা এবং ১০ ফুট চওরা করা খামারটা বানাতে হবে।এবং উচুটা হতে হবে ৯ ফুট। খামারের নিজ থেকে ২.৫ উচু করে দেয়াল দিতে হবে।এবং দেয়াল থেকে উপর পর্যন্ত গুনার জাল লাগাতে হবে। যাতে করে বাহিরের আলো বাতাস বিতরে প্রবেশ করতে পারে। তাছারা উপরের চালদিতে হবে। যদি উপরের চালটা সিমেন্টের ডিউটিন দিয়ে বানালে অনেক ভালো হবে। গরম কালে আপনার খামারে অনেক ঠান্ডা লাগবে এবং আপনার খামারকে রোগ জিবানু মুক্ত থাকবে। নিম্নে ছকের মাধ্যমে দেখানো হলোঃ
খামার তৈরি করার পদ্ধতি

 

ভালো জাতের গাভী বা ষাড়

আপনার যখন খামার বানানো শেষ হবে তখন আপনাকে চিন্তা করতে হবে যে আপনি কি ধরনের গরু পালন করবেন। যদি আপনি গাভী পালন করতে চান তাহলে ভালো দুধওয়ালা বা ভালো জাতের গাভী ক্রয় করতে হবে। আর যদি আপনি ষাড় পালন করতে চান তাহলে প্রতি বছর শুরুতে ৩০ হাজার টাকা করে ভাল জাতের ষাড় ক্রয় করবেন। আর যদি আপনি চান যে আমি ষাড় এবং গাভী দুটাই পালন করব তাহলে করতে পারবেন। কিন্তু আপনাকে দুই সারিতে পালন করতে হবে। এক সারিতে গাভী আরেক সারিতে ষাড়  পালন করতে পারবেন।

গরুর খাবার

গরুর খাবারের জন্য সুষম দানাদারের খাদ্যের মধ্যে কমপক্ষে ৫০-৫৫% শর্করা থাকতে হবে। চাউলের কুড়া, ভুট্টা গমের ভূষি খাওয়াতে হবে। আমিষ খাদ্য এর জন্য এংজকর, মুশরী, মুগ, খেশারী, মাসকালাই বা ডালবীজের খোসা খাওয়াতে হবে। এবং গরুর পুষ্টির জন্য  কাচা ঘাস খাওয়াতে হবে।

গরুর খামার প্রশিক্ষণ

মেধাবী মানব সম্পদ সৃষ্টির অন্যতম উপায় হলো প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ হলো মানুষের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির কৌশল। খামার তৈরি করলে একটু প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। আপনি ইচ্ছা করলে প্রশিক্ষণ নিতেও পারেন আবার না নিয়েও খামার তৈরি করতে পারেন সেটা আপনার ইচ্ছা।

গরুর খামার পরিচালনা

খামার পরিচালনার জন্য আপনি ইচ্ছা করলে অতিরিক্ত লোক নিয়েও করতে পারেন আবার না নিয়েও করতে পারেন। তবে খামারের গরুর সংখ্যা যদি বেশি হয় তাহলে অতিরিক্ত লোকের প্রয়োজন হবে। তাছারা ইচ্ছা করলে আপনার পরিবারের লোকেরা ও পরিচালনা করতে পারবে।

গরুর খামারে লাভ কেমন

আপনি যদি আপনার খামারে পাঁচটি গাভী পালন করেন। আর যদি প্রতিটি গাভী দৈনিক ৫ কেজি করে সকালে দুধ দেয় তাহলে আপনার প্রতিদিন আসতাছে ৫×৫=২৫ কেজি ২৫×৭০=১৭৫০ টাকা আর বিকালে ২×২=১০কেজি। ১০×৭০=৭০০+১৭৫০=২৪৫০ আপনার প্রতিদিন ২৪৫০ টাকা আসতাছে। তাহলে মাসে আসতাছে ২৪৫০×৩০= ৭৩৫০০ টাকা আপনার মাসে আসতাছে ।

অনলাইনে গরু বেচা- কেনা

বর্তমান যোগ ডিজিটাল যোগ, এই যোগে ব্যবসা করা একটা সহজ কাজ। খামারের জন্য গরু কিনা সহজ একটা কাজ। বিভিন্ন ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনার খামারের জন্য গরু ক্রয় করতে পারবেব। তাছারা আবার আপনার খামারের গুরু গুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন।