বাংলাদেশে মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের চাহিদা। বর্তমানে মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চায়। সারা দিন কাজ করে রাতের বেলায় শান্তিতে ঘুমাতে চায়। কিন্তু মশায় কী ঘুমাতে দেয় না তার জন্য আমরা কয়েল বা মশারি ব্যবহার করে থাকি। বর্তমানে বসবাস করতে অনেক কষ্টকর বিষয় হয়ে পরেছে। মশার যন্ত্রণার কারণে ঘুমানো যায় না। তার সাথে বর্তমানে মানুষ দিনদিন অলস হয়ে পরেছেন। সে জন্য আমরা সবাই কয়েল ব্যবহার করে থাকি। বাংলাদেশে প্রতিটি পরিবারে কয়েল ব্যবহার করে থাকেন। সেই জন্য মশার কয়েলের এতো চাহিদা। তার জন্য দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মশার কয়েলের কারখানা ও ব্যবসায়ী। কারণ কয়েলের ব্যবসা করতে বেশি মূলধন লাগেনা। অল্প পুজিতে আপনি কয়েলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কারণ অল্প পুজিতে বেশি লাভজনক ব্যবসা হলো মশার কয়েলের পাইকারি ব্যবসা। বর্তমানে দেখা যায় যে অনেক শিক্ষিত যুবক বেকার গুড়ে বেরাচ্ছেন।  তারা ইচ্ছা করলে বেকার না গুড়ে এই মশার কয়েলের পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

মশার কয়েলের পাইকারি ব্যবসা তিন ভাবে করা যায়

০১  মশার কয়েল তৈরির ফেক্টরি দিয়ে

০২  মশার কয়েলের ফেক্টরি থেকে কয়েল কিনে মার্কেটিং করা

০৩  মশার কয়েলের ডিলারশিপ নিয়ে

মশার কয়েল তৈরির ফেক্টরি

মশার কয়েল উৎপাদন করতে হলে আপনাকে প্রথমত একটি ফেক্টরি তৈরি করতে হবে। ফেক্টরি  তৈরি করার জন্য ভালো একটি জায়গা নির্বাচন করতে হবে। কয়েলের ফেক্টরি দিতে বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। লম্বা ২০ থেকে ৩০ ফিট আর চওরা হতে হবে ১২ থেকে ১৫ ফিট। কয়েলের কারখানা তৈরি করার পরে আপনাকে যা করতে হবে ২৭০০০০ হাজার থেকে ৬৫০০০০ টাকার মেশিন দিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার ব্যবসা।
সরকারি অনুমদোন অবশ্যই কারখানা তৈরি করে কোন কিছু উৎপাদন করলে সরকার থেকে অনুমদোন নিতে হবে। আপনার অনুমোদন নিতে হলে যা যা প্রয়োজন তা নিম্নে দেওয়া হলো:
০১. পি এস পি লাইসেন্স
০২. ট্রেড লাইসেন্স
০৩. ট্রেডমার্ক
০৪. কারখানার লে আউট
০৫. ফায়ার লাইসেন্স
বি এস টি আই অনুমোদন নিতে সরকার যদি মনে করে আরো কাগজ পত্র লাগব তাহলে দিয়ে হইব।

কয়েল বানানোর মেশিন

৮০ কেজি মিক্সার মেশিন
দুই সেট কয়েল কাটিং মেশিন
দুই রকমের দুই সেট ডাইস
হাইপ্রেসার কুন্ডলি লেয়ার স্রোব তৈরির মেশিন

কয়েল বানানোর কাচাঁমাল

 কয়েল বানানোর জন্য অনেক কাচাঁমালের প্রয়োজন হয় যেমন কাট, বাশ, নারিকেল এর ছোবা, পাট, কচুডির পানা, মাটি ইত্যাদি। তাছাড়া কয়েলের জন্য বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল এর প্রয়োজন যেমন : পাইরেথ্রাম, এমজিকে এন, বি এইচটি, ডাইমফ্লথিম ইত্যাদি।

মশার কয়েলের মার্কেটিং

কয়েল তৈরি না করে বিভিন্ন কারখানা থেকে কয়েন কিনে আপনার এলেকার ছোট ছোট বাজারে পাইকারি বিক্রয় করতে পারেন। কয়েলের মার্কেটিং এর ব্যবসা করতে বেশি পুজি লাগে না।  সর্বনিম্ন ১০০০০ হাজার টাকা হলে আপনি মার্কেটিং ব্যবসা করতে পারবেন। মার্কেটিং ব্যবসা করতে হলে আপনার একটি সাইকেল এর প্রয়োজন হবে যা আপনার মান ডেলিভারি দেওয়ার জন্য। মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে ভালো মানের মশার কয়েল বিক্রয় করতে হবে। আর এই মার্কেটিং করে যতো বেশি কয়েল বিক্রয় করতে পারবেন ততোবেশি লাভ হবে।

মশার কয়েলের ডিলারশিপ ব্যবসা

বর্তমানে ব্যবসার জগতে সবথেকে লাভজনক ব্যবসা হলো ডিলারশিপ ব্যবসা। ডিলারশিপ ব্যবসা করতে হলে আপনাকে যেকোনো কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। কোম্পানি থেকে কয়েলের ডিলার নিতে হবে। ডিলার নেওয়ার সময় কোম্পানির সাথে চুক্তি থাকতে হবে। আপনাকে কোম্পানি টারগেট দিবে প্রতি মাসে কতো টাকার কয়েল বিক্রয় করতে হবে। তার উপর % দিবে।
See also  চাউলের পাইকারি ব্যবসা! ১ লাখ টাকা পুজি নিয়ে মাসে ইনকাম করুন ৫০ হাজার টাকা