বন্ধুরা আশা করছি ভালো আছেন, বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা আমাদের ফেসবুক পেইজ প্রমোট করতে চাই কিংবা পেইজের কোন পোস্ট বুস্ট করাতে চাই। কিন্তু কিভাবে ফেসবুক পেইজ প্রমোট করাতে হয় এবং কিভাবে পেইজের পোস্ট বুস্ট করাতে হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের জানাবো ফেসবুক পেইজ প্রমোট ও বুস্ট করাতে পারবেন এবং ফেসবুক পেইজ প্রমোট ও বুস্ট কাকে বলে।
ফেসবুক পেইজ প্রমোট কি?
বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা ফেসবুক পেজ খুলে থাকি। কিন্তু ফেসবুকে পেজ খোলার পর তাতে কোন লাইক/ফলোয়ার থাকেনা যার কারনে আমদের পেইজে কোন পোস্ট করলে তা সহজে অন্য কারো কাছে যায়না। এর কারনে আমাদের পেজ থেকে আমরা কাংখিত ফলাফল পাইনা। যদি আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক,ফলোয়ার থাকে তাহলে আমাদের পেজে কোন পোস্ট করা হলে তা পেইজের ফলোয়ারদের সামনে দেখায়। সুতরাং একটি পেইজ থেকে সফলতা পেতে চাইলে অবশ্যই পেইজে লাইক ফলোয়ার থাকতে হবে।
আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক ফলোয়ার নেওয়ার জন্য আমরা আমদের পেইজ পরিচিতদের ইনভাইট করি এবং শেয়ার করে থাকি। কিন্তু তাতে করে খুবই সীমিত সংখ্যক লাইক ফলোয়ার পাওয়া যায়। তাই ফেসবুক এমন একটি সিস্টেম রেখেছেন যার মাধ্যমে পেইজের মালিক ডলার খরচ করে তার পেইজটি অন্যান্য ফেসবুক ইউজারদের সামনে অটোমেটিক উপস্থাপন করতে পারেন। সোজা বাংলায় বলতে গেলে ডলার খরচ করে একটি ফেসবুক পেইজ লাইক ও ফলোয়ার পাওয়ার উদ্দেশ্যে অন্য ইউজারদের সামনে উপস্থাপন করাই হলো ফেসবুক পেইজ প্রমোট।
ফেসবুক বুস্ট কি?
আমাদের ফেসবুক পেইজে যখন কোন পোস্ট করি অথবা ভিডিও আপলোড করা তা সাধারনত আমাদের ফেসবুক পেইজে যারা লাইক ফলো দিয়েছেন তাদের নিকট পৌছায়। যার কারনে আমরা ফেসবুক পেইজের পোস্টে তেমন রিচ পাইনা। তাই ফেসবুক এমন একটি সিস্টেম রেখেছেন যার মাধ্যমে ফেসবুক পেইজের মালিক ডলার খরচ করে তার পেইজের পোস্ট অন্য ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সামনে নিয়ে যবে।
সুতরাং আপনার ফেসবুক পেইজের পোস্টে আশা অনুরুপ রিচ না পেয়ে থাকলে আপনি বুস্ট করাতে পারেন। যারা ফেসবুকের মাধ্যমে পন্য/সার্ভিস সেল করে তাদের বেশিরভাগ নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক বুস্ট।
কিভাবে ফেসবুক পেইজ প্রমোট/বুস্ট করবেন?
আপনি যদি নিজে নিজেই বাংলাদেশ থেকে ফেসবুক পেইজ প্রমোট/বুস্ট করাতে চান তাহলে আপনার ডুয়েল কারেন্সি ভিসা,মাস্টারকার্ড প্রয়োজন হবে। আপনাকে বাংলাদেশের যেকোন ব্যাংক থেকে একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নিতে হবে তারপর আপনার পাসপোর্ট দিয়ে সেই কার্ডে ডলার এন্ড্রোস করতে হবে। তারপর আপনি যে পেইজ প্রমোট/বুস্ট করতে চান সেই পেইজে গেলেই প্রমোট ও বুস্ট করার অপশন পেয়ে যাবেন। তারপর আপনার পছন্দমতো আপনি সকল কিছু সেটাপ করবেন এবং পেমেন্ট মেথড এড করবেন। তখন আপনার ক্যাম্পেইন ফেসবুক টিম রিভিউ করবে সবকিছু ঠিক থাকলে ক্যাম্পেইন রান হবে।
আপনার যদি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড না থাকে বা ফেসবুক পেজ প্রমোট/বুস্ট করার মতো পেমেন্ট মেথড না থাকে তাহলে আপনি Digital Boost Sheba থেকে বিকাশ/নগদ/রকেটের মাধ্যমে আপনার ফেসবুক পেইজ বুস্ট/প্রমোট করাতে পারবেন। সঠিক মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি প্রয়োগ করে আপনার ব্যবসার পরিচিতি বাড়িয়ে নিতে বুস্ট সেবা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে। আপনার বিজ্ঞা’পন”টি সঠিক কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব ডিজিটাল বুস্ট সেবা নিবে।
আমাদের সার্ভিস-
-
- পেজ সেটআপ
- পেজ প্রমোট
- পোস্ট বুস্ট
- প্রোডাক্ট টার্গেট বুস্ট
- সঠিক ডলার রেট
- সর্বনিম্ম ৫ ডলার বুস্ট করার সুবিধা
আমাদের সার্ভিস নিতে অথবা বিস্তারিত জানতে কল/মেসেজ করুন Whatsapp
শেষকথা
আশা করছি আমি আপনাদেরকে ফেসবুক পেইজ বুস্ট/প্রমোট সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। কিভাবে নিজে নিজেই বাংলাদেশ থেকে বিকাশ,নগদ,রকেটে আপনার ফেসবুক পেইজ প্রমোট করবেন ও বুস্ট করবেন তা সম্পর্কেও আপনারা জানতে পারছেন। যদি ফেসবুক পেইজ প্রমোট বা বুস্ট নিয়ে আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে করতে পারেন।