গুলিস্তান পাইকারি মার্কেট ১৯৯৭ সালে শুভ যাত্রা শুরু হয়। এই গুলিস্তা পাইকারি মার্কেট একটি জনপ্রিয় বা সবার পরিচিত একটি মার্কেট। ঢাকার প্রাশাসনিক কাঠামো এ নামের কোন স্থানের অস্তিত্ব না থাকলেও আদি আর আধুনিক এই দুই ঢাকারি কেন্দ্র এই গুলিস্তান। এক সময় ঢাকা আসা যাওয়ার মধ্য এই গুলিস্তান হচ্ছে প্রথম এবং শেষ গন্তুব্য । বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররা ভিভিন্ন ধরনের পণ্য ক্রয় করতে এই ঢাকা গুলিস্তানেই আসেন। কেউ  মোবাইল,কেউ ইলেক্ট্রনিক বা কেউ মোবাইল সার্ভেসিং করে এবং কেউ জুতা ,কাপর ইত্যাদি কিনার জন্য এই গুলিস্তান পাইকারি  মার্কেটে আসেন।  তাছারা গুলিস্তান পাইকারি মার্কেট সপ্তাহে ৬ দিন খোলা থাকে। আবার বিভিন্ন দিবসের মধ্যে ও এই গুলিস্তান পাইকারি মার্কেট বন্দ থাকে। সকাল ৮ থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত গুলিস্তান পাইকারি মার্কেট খোলা থাকে। ইলেক্ট্রনিক,জুতা,কাপর ইত্যাদির জগতে এবং বাংলাদেশের সব থেকে বড় মার্কেট হলো এই গুলিস্তান পাইকারি  মার্কেট। এই পাইকারি মার্কেট এ শুধু ইলেক্ট্রনিক পণ্য না আরো অনেক কিছুই পাওয়া যায় যেমন, জুতা,কাপর,দেশি-বিদেশি ইত্যাদি পণ্য পাওয়া যায়। গুলিস্তান হচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মধ্যে অবিস্তির। । গুলিস্তান রাস্তার পাশে ফুটপাথে পণ্য বিক্রয় করেন প্রায় ৩ হাজার হকার।পাইকারি ও খুচরা পণ্য যা কিনবেন তা গুলিস্তান গেলেই পাইবেন।চোরাই মার্কেটে মোবাইল,জুতার মার্কেট ও ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি বিক্রির জন্য বিখ্যাত ঢাকা গুলিস্তান। পুরাতন টাকা দিয়ে নতুন চকচকে জকজকে টাকা ক্রয় – বিক্রয় থেকে শুরু করে সবকিছুই ঢাকা গুলিস্তানে পাওয়া যায়। তাছারা প্রতিদিন দেখা যায় ছোট ছোট কাঠের তৈরি পাটাতনে জামাকাপর সহ অনেক রকমের পণ্য সাজিয়ে ফুটপাতে বসে দিন রাত বিক্রয় করছেন অনেক হকার।এ ছাড়া রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন রুট সহ কয়েকটি জেলা সাথে গণপরিবহন যোগাযীগের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা গুলিস্তানে দিন রাত ২৪ ঘন্টায় লোকজন চিলাফেরা করতে থাকে। আবার গুলিস্তান পাইকারি মার্কেটের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পাইকারি মার্কেট রয়েছে যেমনঃ

See also  হাসেঁর খামার! ৫ হাজার টাকা পুজি নিয়ে মাসে ইনকাম করুন ৫০ হাজার টাকা

১। গুলিস্তান পাতাল মার্কেট

২। সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেট

৩।  ফুলবারিয়া পাইকারি মার্কেট

৪। বংগবাজার পাইকারি মার্কেট

গুলিস্তান পাতাল মার্কেট

গুলিস্তান পাতাল মার্কেট হলো ইলেক্ট্রনিক জগতে সব থেকে বড় পাইকারি মার্কেট হলো এই পাতাল মার্কেট। দেশি বিদেশি সকল ধরনের ইলেক্ট্রনিক পণ্য পাইকারি পাওয়া যায়। তাছারা মোবাইল সার্ভেসিং এর সকল ধরনের মালা-মাল পাওয়া যায়। এ ছাড়া কাপর ও দেশি বিদেশি সকল ধরনের কাপর পাওয়া যায়। 

সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেট

সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটি ঢাকা গুলিস্তানে অবস্তিত। যা ১৯৭২ সালে তৈরি করা হয়। সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটি হচ্ছে ঢাকা দক্ষিন সিটির মধ্যে অবস্তিত। আবার ২০০২ সালে পুনরায় পাকা করে তৈরি করে তার নাম দেওয়া হয় সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেট। এখামে জামা কাপর, জুতা, ইলেক্ট্রনিক ইত্যাদি পণ্য পাইকারি বিক্রয় করে থাকেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররা এসে এই গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেট থেকে পণ্য ক্রয় করে থাকেন। এখানে বিদেশ থেকে আমদানিকিত মালা-মাল পাওয়া যায়। এই মার্কেট সপ্তাহে ৬দিন খুলা থাকে। সকাল ৮ থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত খুলা থাকে।

ফুলবাড়িয়া পাইকারি মার্কেট 

কাপরের জগতে সব থেকে বড় মার্কেট হলো এই ফুলবাড়িয়া পাইকারি মার্কেট। এখানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা এসে পণ্য ক্রয় করে থাকেন। দেশি বিদেশি সকল ধরনের কাপর পাওয়া যায়। তাছারা এখানে ভাল মানের জুতাও পাওয়া যায়। এই ফুলবাড়িয়া পাইকারি মার্কেট সপ্তাহে ১ দিন বন্ধ থাকে আর ৬ দিন খুলা থাকে। সকাল ৮ থেকে রাত ১১ পর্যন্ত খুলা থাকে।

বংগবাজার পাইকারি মার্কেট

ঢাকা প্রধান রেলস্টেশনের গা ঘেষেই এই বংগবাজার। ১৯৬৫ সালে বংগবাজারের হকার ও ছোট ছোট দোকানের সংখা বেসি থাকার কারণে পরে রেলস্টেশ এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তার পর১৯৮৫ সালে এই বংগবাজার পাকা করে নির্মান করা হয়। ওই বংগবাজার ঢাকা দক্ষিন সিটির মধ্যে অবস্তিত। কাপরের জগতে সব থেকে বড় মার্কেট হলো এই বংগবাজার। এখানে দেশি ও বিদেশি কাপর পাইকারি ও খুচরা পাওয়া যায়। বংগবাজার সপ্তাহে ৬ দিন খুলা থাকে আর বাকি ১দিন বন্দ থাকে। সকাল ৮ থেকে রাত ৯ পর্যন্ত খুলা থাকে।